হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করছেন? এই ৮টি নিয়ম না মানলে নিষিদ্ধ হয়ে যেতে পারেন।
ইদানিং সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে নেতিবাচকতাই বেশি প্রকট হচ্ছে। বিশেষ করে বর্তমান প্রজন্ম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্রমশই অপ্রয়োজনীয় ও ক্ষতিকর দিকগুলোকেই গুরুত্ববহ করে তুলছে। তাই হোয়াটসঅ্যাপের মতো জনপ্রিয় সোশ্যাল মাধ্যমে এ ব্যাপারে তাদের নিয়ম-নীতি দিন দিন কঠোর করে তুলছে। হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়ে দিয়েছে তাদের ‘Terms of Service’ ভঙ্গ করলে অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করে দেওয়া হতে পারে।
সংস্থার ওয়েবসাইটে যে ৮টি বিষয়ের কথা উল্লেখ করা রয়েছে, তা হলো-
১. আপনি নিজ নামে বা অন্য কারো নামে ফেক একাউন্ট খুলতে পারবেন না। আর তা যদি হোয়াটসঅ্যাপ টের পায় তাহলে সেই অ্যাকাউন্ট মুছে দেওয়া হবে।
২. আপনি কারও কনট্যাক্ট লিস্টে নেই। কিন্তু তাঁকে অসংখ্য মেসেজ পাঠিয়েছেন। তাহলেও আপনার অ্যাকাউন্ট বন্ধ বা নিষিদ্ধ হতে পারে।
৩. হোয়াটসঅ্যাপের বদলে কোনও থার্ড পার্টি অ্যাপ ব্যবহার করলেও বিপদে পড়তে হতে পারে। হোয়াটসঅ্যাপ ডেল্টা, জিবিহোয়াটসঅ্যাপ কিংবা হোয়াটসঅ্যাপ প্লাসের মতো অ্যাপ ব্যবহার করলেও আপনার অ্যাকাউন্টটি নিষিদ্ধ হতে পারে।
৪. আপনি যদি অসংখ্য মানুষকে ব্লক করতে থাকেন, তাহলেও বিপদ। আপনার কনট্যাক্ট লিস্টে থাকুক বা না থাকুক, প্রচুর পরিমাণে অ্যাকাউন্টকে ব্লক করে দিলেও নিষিদ্ধ হতে পারে আপনার হোয়াটসঅ্যাপ।
৫. আপনার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট নিয়ে একাধিক রিপোর্ট এলে বন্ধ হতে পারে অ্যাকাউন্ট।
৬. যে কোনও বার্তা ফরওয়ার্ড করার আগে খুব সাবধানে থাকতে হবে। যদি অ্যান্ড্রয়েড ফোনে APK ফাইলের বেশে ম্যালওয়্যার কিংবা সন্দেহজনক লিঙ্ক লোকজনকে আপনি পাঠাতে থাকেন, তাহলেও কিন্তু অ্যাকাউন্টটি নিষিদ্ধ করতে পারে হোয়াটসঅ্যাপ।
৭. এমনকি ‘বেআইনি, অশ্লীল, মানহানিকর, হুমকি, ঘৃণা উদ্রেককারী’ মেসেজ করলে কিংবা কাউকে বিরক্ত করলে বা ভয় দেখালেও আপনার অ্যাকাউন্ট বন্ধ হতে পারে।
৮. ফেক মেসেজ নিয়ে থাকতে হবে সাবধানে। কোনও ধরনের হিংসায় প্ররোচনা দেওয়া ভিডিও বা ভুয়ো বার্তা ছড়ানো মেসেজ ফরওয়ার্ড করার আগে দশবার ভাবুন। এই ধরনের মেসেজ ফরওয়ার্ড করলে আপনার অ্যাকাউন্টটি নিষিদ্ধ হয়ে যেতে পারে।