Malware Antivirus App : প্রযুক্তির যত উন্নত হচ্ছে এর ঝুঁকিও তত বাড়ছে। আপনার ডিভাইসগুলোর প্রতি হ্যাকারদের নজরও বাড়ছে একইভাবে। যে কোন সময় আপনার অনলাইন একাউন্টের দখল নিয়ে যেতে পারে হ্যাকাররা যদি আপনি ডিভাইসের অ্যাপ ব্যবহারে সতর্ক না হোন। তারা সাধারণত হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে কিছু ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাপকে।
হ্যাকাররা সাধারণত কিছু চটকদার অ্যান্টি-ভাইরাস অ্যাপ এর মাধ্যমে স্মার্টফোনে ম্যালওয়্যার প্রবেশ করিয়ে ব্যক্তিগত তথ্য় হাতিয়ে নেয়। তাই এবার অ্যান্ড্রয়েডের কয়েকটি অ্যাপ ইনস্টল করার ব্যাপারে সতর্ক করা হলো।
আপনি কোনও নতুন অ্যান্টি-ভাইরাস অ্যাপ ইনস্টল করার ক্ষেত্রে অনেক সময়ই অ্যাপটির বিষয়ে বিস্তারিত না জেনেই সাধারণত গুগল প্লে স্টোর ও অ্যাপেল স্টোর থেকে তা ডাউনলোড করে বসেন। আর তখনই ওই অ্যাপের আড়ালে ঘাপটি মেরে বসে থাকা ম্যালওয়্যার আপনার স্মার্টফোনে প্রবেশ করে আপনার ফোনের যাবতীয় তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে দৃষ্কৃতিকারীরা ।
(ফলো করুন আমাদের Google News, Facebook এবং Twitter পেজ)
৬ ধরনের এন্টিভাইরাস অ্যাপ
চেক পয়েন্ট রিসার্চ নামে একটি গবেষণা সংস্থা এ ধরনের ৬ টি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপের (Malware Antivirus App) তথ্য দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে অ্যাটম ক্লি-বুস্টার, অ্যান্টিভাইরাস-অ্যান্টিভাইরাস, সুপার ক্লিনার, আলফা অ্যান্টিভাইরাস, ক্লিনার- পাওয়ারফুল ক্লিনার-অ্যান্টিভাইরাস এবং সেন্টার সিকিউরিটি- অ্যান্টিভাইরাস অ্যাপের জোড়া ভার্সান। অ্যান্টি-ভাইরাস সলিউশনের নামে এই অ্যাপগুলি আপনার ফোনে ঢুকে ব্যাংক সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে। এগুলো আসলে স্মার্টফোনে ‘শার্কবোট’ (Sharkbot) নামে এক ধরনের ম্যালওয়্যার ছড়িয়ে দেয়।
এই শার্কবোট অত্যন্ত শক্তিশালী একটি ম্যালওয়্যার । এরা খুব ধূর্ততার সাথে বাছাই করা ইউজারদেরই টার্গেট করে। গবেষণা সংস্থাটি আরো জানায়, চিন, ভারত, রোমানিয়া, রাশিয়া, ইউক্রেন, বেলারুশের মতো দেশের ইউজাররা এক্ষেত্রে জিওফেন্সিং ফিচারের মাধ্যমে এই ম্যালওয়্যার থেকে তাদের ফোনকে রক্ষা করে। তবে তাদের টার্গেটের তালিকা অজানা। তাই এন্টিভাইরাস অ্যাপ ইনস্টল থেকে সাবধান নইলে হ্যাক হতে পারে আপনার ফোন।
আরও পড়ুন:
Youtube income : ইউটিউব থেকে আয় করতে চান? জেনে নিন ৯ উপায় – Update 20223