ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সোশ্যাল মিডিয়ার উপর ক্রমেই নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে ক্রেমলিন। তাই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অগ্রগতি কতটা? কতটা ক্ষতি হল মস্কোর (Moscow)? সে দেশের মানুষজনই বা কী ভাবছে যুদ্ধে নিয়ে? এসব প্রশ্নের উত্তর জানার উপায় নেই। কারণ যুদ্ধ সংক্রান্ত খবর প্রচার নিয়ে সংবাদমাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়ার উপর কড়া নজরদারি করছে পুতিন সরকার।
এমন পরিস্থিতিতে রুশ নাগরিকরা সরকারের চোখে ফাঁকি দিয়ে যুদ্ধের প্রকৃত তথ্য পেতে রুশদের এখন একমাত্র ভরসা একটি অ্যাপে। হু হু চাহিদা বাড়ছে সেই অ্যাপের। জানেন, কোন অ্যাপ ব্যবহার করছে রুশ নাগরিকরা?
যুদ্ধের সমস্ত খবর পেতে টেলিগ্রামের উপর ভরসা রাখছেন তাঁরা। সেখানেই যুদ্ধ নিয়ে চলছে তর্ক-বিতর্ক। লেখালেখি করছেন সাংবাদিকরাও।
সাম্প্রতিক কয়েকটি সমীক্ষার রিপোর্ট তুলে ধরলেই বোঝা যাবে, কতটা জনপ্রিয় হয়েছে এই টেলিগ্রাম অ্যাপ (Telegram App)। সেন্সর টাওয়ার নামে একটি সংস্থার রিপোর্ট বলছে, ২০১৪ থেকে রাশিয়ার (Russia) প্রায় সাড়ে ১২ কোটি স্মার্টফোনে ডাউনলোড হয়েছে এই অ্যাপ। এর মধ্যে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে অ্যাপটি ব্যবহার করছে ৪৫ লক্ষ ব্যবহারকারী। এর থেকেই স্পষ্ট, কতটা জনপ্রিয় হয়েছে টেলিগ্রাম।
পুতিনের রক্তচক্ষুর জেরে গত মাসে ‘ইকো অফ মস্কো’ রেডিও চ্যানেলটি বন্ধ হয়ে যায়। তার পরই রেডিও চ্যানেলের ডেপুটি এডিটর টেলিগ্রামে চ্যানেল খুলেছেন। সেখানে হু হু করে বাড়ছে শ্রোতার সংখ্যা। রাশিয়ার একাধিক সাংবাদিক বলছেন, বর্তমানে টেলিগ্রামই একমাত্র অ্যাপ। যেখানে আমজনতা মন খুলে যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করতে পারেন।
অন্যদিকে ইউক্রেনেও(Ukraine) বর্তমানে বহুল ব্যবহার হয় টেলিগ্রাম অ্যাপটি। তার একটা বড় কারণ, এই অ্যাপটিতে একসঙ্গে ২ লক্ষ মানুষকে মেসেজ ফরোয়ার্ড করতে পারেন। হোয়াটসঅ্যাপে যে সংখ্যাটা মাত্র ২৫৬। উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে প্রবেশ করে রুশ ফৌজ। তারপর থেকেই শুরু হয়েছে ভয়ংকর লড়াই। প্রথমে মনে করা হয়েছিল সহজেই কিয়েভ দখল করবে রাশিয়া। কিন্তু যতই সময় এগিয়েছে, ততই পালটা মার দিয়েছে ইউক্রেনীয় সেনা। এমনকী হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছে সাধারণ মানুষও।